“নজরুল ও বিশ্বসংস্কৃতি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্কুলের দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তির পক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা সম্ভব কি? কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন প্রাচীন ভারত, মধ্যযুগের ইরান, আরবভূমি এবং উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সঙ্গে। শুধু পরিচিতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা নজরুলপ্রতিভা । একজন সৃজনশীল শিল্পীর দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি তাঁর রচনাবলীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি। নজরুল ও বিশ্বসংস্কৃতি গ্রন্থে ডক্টর রাজীব হুমায়ুন তুলে ধরেছেন নজরুলের জ্ঞানের পরিধি ও সৃজন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিকসমুহ। রামায়ণ, মহাভারত এবং ভারতীয় পুরাণ অবলম্বনে নজরুল সৃষ্টি করেছেন অনেক গান ও কবিতা এবং শিব, দুর্গা, রাম, রাবণ, রাধা-কৃষ্ণসহ অনেক চরিত্র। কালিদাসের পুরাে মেঘদূত কাব্য ব্যবহার করে লিখেছিলেন একটি গান- স্নিগ্ধ শ্যাম বেণীবর্ণা। সংস্কৃত ছন্দের নিপুণ ব্যবহারে সৃষ্টি করেছেন অভিনব গান ও কবিতা। উত্তর ভারতীয় উচ্চাঙ্গ ও লােকজ সঙ্গীতের ধারা ব্যবহার করে নজরুলের নিজস্ব সঙ্গীত ধারা নির্মাণ প্রসঙ্গ স্থান পেয়েছে এ গ্রন্থে।