শিহাবকে বন্ধুরা গ আকার বলে জানে। গ আকার মানে গাধা। হাজার হােক বন্ধু! তাই ওকে সরাসরি গাধা না বলে সাংকেতিক পদ্ধতিতে গ আকার শব্দটি প্রয়ােগ করে। এই নিয়ে শিহাবের খুব মন খারাপ। সর্বক্ষণ গুম মেরে থাকে। তবে শিহাবকে গ আকার না ডেকে ওর বন্ধুদের উপায়ই বা কি? গাধার মগজেও বােধ করি কিছু বুদ্ধি টুদ্ধি আছে। শিহাবের সেটুকুও নেই। এমন ম্যাদামারা ছেলে সুমনরা দ্বিতীয়টি পায়নি। শিহাব, রুমন, সুমন, রােকন একই স্কুলে নাইনের ছাত্র। ওদের প্রাইভেট টিউটরও একই ব্যক্তি, ওয়াজেদ মাস্টার। শিহাবদের বাড়িতেই ওয়াজেদ স্যার সকালে পড়াতে আসেন।
মাদুর পেতে গােল হয়ে বসে তারা পড়ে। ওয়াজেদ স্যার শিক্ষক হিসেবে দারুন। বিশেষ করে অঙ্কে। গার্জিয়ানরা ওয়াজেদ স্যারকে ‘অঙ্কের পােকা’ ডাকেন। যতাে জটিল অঙ্কই হােক, স্যার চোখ বুজে কষে ফেলেন। দোষও আছে, ছাত্র পড়াতে এসে শুধু ঘুমায়। শিহাবদেরকে জোরে জোরে পড়তে হয়, সুর করে করে। স্যারের যখন বিচিত্র শব্দে নাক ডাকা শুরু হয় তখন শিহাবরা একটু রেস্ট নেয়। পড়া ফেলে একথা সেকথা বলে গুলতানি মারে। ঘুম কাতুরে স্যারের কানে ছাত্রদের পড়ার শব্দ ঢুকে না। স্যারের ঘুম ভেঙ্গে যায়। লাল চোখে কটমট করে তাকিয়ে হুঙ্কার দেন, বলি হচ্ছে কি? তােরা পড়া থামালি যে? শুধু এটুকু বললে না হয় পােষাতাে। কিন্তু স্যার চলে যান পরবর্তী এ্যাকশনে। এ ধার থেকে ও ধার পর্যন্ত শপাৎ শপাৎ চালায় সন্ধি বেত। এরপর নামেন আরাে ভয়ঙ্কর কাণ্ডে। এক ধার থেকে প্রশ্ন শুরু করেন। সঠিক উত্তর দিতে পারলেতাে ভালােই।