“কবির বউঠান” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয় সন্তান। সত্যেন্দ্রনাথ ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম আই সি এস। তার স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনীকে তিনি স্বাধীন নারী হিসেবে গড়ে তুলতে চান। সেই মতাে জ্ঞানদা ধীরে হয়ে ওঠেন। তেজস্বিনী এক নারী। বাঙালি নারীর পােশাকের সংস্কারমুক্তিকেই তিনি প্রথম গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। জ্ঞানদানন্দিনীর প্রিয় দেবর জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে তিনি ছিলেন মেজো বউঠান। ঠাকুরবাড়ির বৃহৎ সংসারের বাইরে শিল্প সংস্কৃতি আত্মীয়তার একটি অন্তরঙ্গ ত্রিকোণ রচিত হয় সতেরাে বছরের জ্ঞানদা, আঠারাের জ্যোতিরিন্দ্র আর দু’জনের অভিভাবক সত্যেন্দ্রনাথের মধ্যে। এরপর জ্যোতিরিন্দ্রের বিবাহ হয় কাদম্বরীর সঙ্গে। তখন রবীন্দ্রনাথের সবে কবিতা নিয়ে আঁকিবুকির শুরু। গুরুমশায়ের কাছে একসঙ্গে পাঠ নেন রবি, সােম, সত্য, বর্ণদিদি এবং কাদম্বরী অর্থাৎ রবির নতুন বউঠান। রবি ক্রমশ বড় হয়ে ওঠেন। নতুন বউঠানের সঙ্গে নবীন কবির সখ্যতার সম্পর্ক হয়। আলােকপ্রাপ্ত ঠাকুর পরিবারের প্রতিভা-উজ্জ্বল নানান চরিত্র ভিড় করে আছেন মল্লিকা সেনগুপ্তের ‘কবির বউঠান’ উপন্যাসে। এই লেখায় একইসঙ্গে খেলা করছে সৃজনশীল এক আশ্চর্য সময় আর নিঃসঙ্গ ভালবাসার বিষাদ। দুই হাতে দু’টিকেই যেন ছুঁয়ে আছেন সেতুর মতন এক কবি।