ডুমরির খালের নিচে আছে ভয়ানক সব শয়তান। তারা কি এই গ্রহের, নাকি মহাকাশের অন্য কোথাও থেকে পৌছে গেছে আমাদের পৃথিবীতে। বছরের পর বছর আলােহীন জ্ঞান-কোটরে বসে বসে ঝিমােন জ্ঞানীমামা স্বপ্ন দেখে কত কিছুর। কালাে কাক কৃষ্ণকুম্ভ কেমন করে যেন আটকে যায় ক্রিম বিক্রি করা দোকানির খাঁচায়। বিজ্ঞাপন দেখে দেখে জেনেছে কৃষ্ণকুম্ভ এই ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম মাখলে সিদ্ধি নিশ্চিত। তার ফরসা হওয়া কে-ই বা আটকাতে পারে ! শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণকুম্ভ কি পারবে খাচা খুলে বেরিয়ে এসে ডুমরির খালের কাছে, জ্ঞানীমামার জ্ঞান-কোটরের কাছাকাছি চলে আসতে? এদিকে নিজের পুরনাে দূরবীন হাতে নিয়ে ক্রমাগত দূরবীনবাজি করে যায় গােয়েন্দা দুন্দুভি। তার বেশির ভাগ নজরই আটকে থাকে জ্ঞানীমামার জ্ঞানকোটরের দিকে। কি হতে যাচ্ছে সেখানে আসলে? জ্ঞানীমামার মতােই একেবারে হুবহু দেখতে একজন গুণীও কি থাকছে জ্ঞান-কোটরে? ডাকাত বটাই তার ছিপ নৌকো নিয়ে হা-রে-রে-রে করতে করতে ডাকাতি করে চলে নিয়মিত। ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’-এর সময়কার পাইরেটদের ম্যাকাও ‘রামটিয় ’ অথবা ‘টিয়ারাম’ নাম নিয়ে উড়ে এসে বসে বটাইয়ের কাঁধের ওপর। সব মিলিয়ে সে একা মহা কোলােয়াঙ্কারী ব্যাপার। কিন্নর রায় দেখালেন কেমন করে স্বপ্ন, কল্পনা, বাস্তব, ইতিহাস, রূপকথা, পরণকথা মিলিয়ে মিশিয়ে গড়ে তােলা যায় অন্য এক আখ্যান। জলের ওপর জেগে ওঠা ‘সােনালী ডানা’-রা কাকে যে ভয় দেখায় অথবা ভরসা যােগায়—সে সব জানতে এই কাহিনি পড়তেই হবে।