“কবিতাসমগ্র” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
মল্লিকা সেনগুপ্ত সাম্প্রতিক সময়ের নবিশিষ্ট কবি। প্রকৃত স্বাধীনতাকামী । নারীর কণ্ঠস্বর দৃঢ় হয়ে আছে তার কবিতায়। কবি হিসেবে মল্লিকার স্বাতন্ত্র এখানেই যে, আন্দোলনকারী নারীবাদীদের চিৎকার ও ঘৃণা তিনি কবিতায় ব্যবহার করেননি, বরং নম্র গলায় বলেছেন নিপীড়িত, প্রতারিত নারীর বিষাদ ও অভিমানের কথা। তার ভাষ্যে মিশে আছে পুরাণ, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান। নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে গড়ে উঠেছে এক গভীর, স্পর্শকাতর নারীজীবন। সর্বোপরি মল্লিকার কবিতা শেষপর্যন্ত কবিতাই থেকেছে, তা হয়ে যায়নি কোনও মোটা দাগের ইস্তাহার। রহস্যময় চল্লিশ চাঁদের আয়ু’ থেকে অসামান্য ‘আমি সিন্ধুর মেয়ে হয়ে পুরুষকে লেখা চিঠি’ বা ‘বৃষ্টিমিছিল বারুদমিছিল’-এর দিকে ছুটে যাওয়ার সময় অজস্র কবিতায় মল্লিকা প্রকৃতপক্ষে ধারণ করেছেন। সৃজনশীল, অফুরন্ত এক মানবী সত্তাকে। তাঁর অকালপ্রয়াণের পর মুগ্ধ পাঠকের জন্য একত্রিত করা হল সমস্ত কবিতা। মল্লিকা সেনগুপ্তর ‘কবিতাসমগ্র’ গ্রন্থটি বাংলা কবিতার এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।