“চাবি রহস্য” বইয়ের প্রারম্ভিক কিছু অংশ:
আজ ঝিনুকের প্রােফেসর বি ডির বাড়িতে পড়তে যাওয়ার দিন। বাবা বলেছিলেন, “টিউশন শেষ হওয়ার পনেরাে মিনিট আগে আমাকে একটা মিসড কল দিস। আমি বউবাজারের কাছাকাছি থাকব, তােকে তুলে নেব।” বাবার সঙ্গে গাড়িতে ফেরার একটা মজা আছে, রেস্তরাঁয় খাওয়ার বায়না করলে, সচরাচর ‘না’ করেন না। ঝিনুকদের গাড়ি এখন পার্ক স্ট্রিটের ফ্লাইওভারে। | আড়চোখে বাবার মুডটা বুঝে নিয়ে ঝিনুক বলল, “অনেকক্ষণ ধরে খিদে পেয়েছে। কোথাও একটু…”
“খাবি? আচ্ছা চ’, ক্যামাক স্ট্রিটে একটা চাইনিজ রেস্তরাঁ আছে, ভাল রান্না করে। তােকে কোনওদিন খাওয়ানাে হয়নি।”
বাবার এই কথাতেই ড্রাইভার আশুদা যা নির্দেশ পাওয়ার পেয়ে গেল। ঝিনুক গা ঝাড়া দিয়ে বসে মনে মনে ঠিক করতে থাকল, কী কী আইটেম অর্ডার দেবে।
ফ্লাইওভার থেকে নেমে আশুদা রাস্তার বাঁ দিক ধরে গাড়ি চালাচ্ছে। একটু পরেই থিয়েটার রােডে ঢুকে ক্যামাক স্ট্রিট পৌঁছবে। বাবা বলে উঠলেন, “এখানেই যখন এলাম, দীপঙ্করের অফিসে একবার চুঁ মেরে যাই, কী বলিস? ওকেও বলব আমাদের সঙ্গে খেতে।”
দীপকাকুর সঙ্গে সময় কাটানাের ব্যাপারে ঝিনুক সব সময় উৎসাহী। বলল..